বাজেটে হার্ডওয়্যার উপেক্ষিত: বিসিএস সভাপতি


CCn || ৪ জুনের বাজেট প্রস্তাবে হার্ডওয়্যার খাত উপেক্ষিত রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফ। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে পাঠানো এক আনুষ্ঠানিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় চূড়ান্ত বাজেটে আইটি এবং আইটিইএস খাতে হার্ডওয়্যার অন্তর্ভূক্ত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সফটওয়্যার ও সেবা খাতের কর অবকাশ ২০২৪ সাল অবধি বাড়ানো, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিতে ব্যবহৃত ক্যামেরার শুল্ক ২৫ ভাগ থেকে ১০ ভাগ করা,
অপারেটিং সিস্টেম, ডেটাবেইজ ইত্যাদি সফটওয়্যার ব্যতীত অন্য সফটওয়্যারের ওপর শতকরা ৫ ভাগ শুল্ক আরোপ করা এবং হাইটেক পার্কের জন্য বিদ্যুৎ ও ভ্যাট মওকুফ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে সেই তুলনায় হার্ডওয়্যার খাত ও আইটি অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে বলে ‘মনে করেন’ বিসিএস সভাপতি।

লিখিত প্রতিক্রিয়ায় বিসিএস সভাপতি জানিয়েছেন, “হার্ডওয়্যার শিল্পকে বাইরে রেখেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবা খাতে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, চূড়ান্ত বাজেটে আইটি ও আইটিইএস-এর মধ্যে হার্ডওয়্যার খাতকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। এটা না হলে নতুন উদ্যোক্তারা প্রযুক্তি ব্যবসায় আগ্রহ দেখাবে না।”

“প্রযুক্তি খাত শিল্পায়নের জন্য হার্ডওয়্যার হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও নেটওয়ার্ক খাতের সমান উন্নয়ন প্রয়োজন, তাছাড়া প্রযুক্তি খাত কখনোই উৎপাদনশীল হতে পারবে না”

অন্যদিকে অনলাইন কেনাকাটার ওপর ৪ শতাংশ কর ধার্য করা এবং ব্যবহারকারী পর্যায়ে ইন্টারনেটে ১৫ শতাংশ কর অব্যাহত রাখা, মোবাইল সিম বা রিমের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবায় ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাবিত এবং প্রস্তাবিত ১% সারচার্জ সেবার খরচ বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন এএইচএম মাহফুজুল আরিফ।

আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেন মুক্তপেশাজীবীরা। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর থেকে ১৫% ভ্যাট তুলে নেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিসিএস সভাপতি।

Comments

Popular posts from this blog

ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়'তে তারা তিনজন

দেবের সাথে কাজ করবেন মিষ্টি

ম্যাগাজিনে হট নার্গিস ফাখরি