হাসিনার স্বপ্নের সাফল্য প্রত্যাশা মোদীর



CNa|| ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন শেখ হাসিনা, তার সাফল্য কামনা করেছেন নরেন্দ্র মোদী।

শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছার পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর হোটেলে মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেন নরেন্দ্র মোদী।

ঢাকা-শিলং-গুয়াহাটি ও আগরতলা-ঢাকা-আগরতলা বাস উদ্বোধনের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে সীমান্ত চুক্তির অনুসমর্থনের দলিল বিনিময়ের সাক্ষী হন মোদী। 

এরপর শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠক শেষে দুই দেশের
মধ্যে ১৯টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও প্রটোকল সইয়ের পর বক্তব্য দিতে আসেন মোদী।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে বিজেপি নেতা বলেন, “নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আপনাদের অগ্রগতিতে ভারতের জনগণ মুগ্ধ। আপনারা ২০২১ ও ২০৪১ সালের যে লক্ষ্য ঠিক করেছেন, আমরা তার সাফল্য কামনা করি।”

বিএনপি জোটের বর্জনের মধ্যে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনকারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য ঠিক করেছেন।

৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রিত্ব নেওয়ার পর গত বছর নিউ ইয়র্কে নিজেদের প্রথম বৈঠকে মোদী বলেছিলেন, “বঙ্গবন্ধু দেশ বানায়া, ওস কি লেড়কি দেশ বাঁচায়া (বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধু, আর তার কন্যা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন)।”

সকালে ঢাকায় নামার পরপরই টুইটারে মোদী লেখেন, তিনি বাংলাদেশের জন্য ভালোবাসা নিয়ে এসেছেন। উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও জানান তিনি। 

স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরে সব বাধা অপসারণের মধ্য দিয়ে ভারত রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মোদী।  

বক্তৃতায় মোদী প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের কাছে বাংলাদেশকে গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “আমরা শুধু প্রতিবেশী রাষ্ট্রই নই; আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা, উত্তরাধিকার এবং ক্রিকেট প্রেম, সব একসূত্রে গাথা।”

উপনিবেশ থেকে মুক্তিতে এক সঙ্গে সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন দুই দেশই উন্নয়নের সহযাত্রী।

বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক আস্থার সম্পর্কের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে নিজের প্রত্যাশার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানো, বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গাঢ় করার মধ্য দিয়ে দুই দেশের বহুমাত্রিক বন্ধন নতুন উচ্চতায় নেওয়ার আশাও প্রকাশ করেন মোদী।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সমর্থন নিয়ে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে চলমান জটিলতার জট শিগগিরই কাটার আশা দিয়েছেন মোদী। ফেনী নদীর পানি সমস্যার সমাধানও দ্রুত ঘটবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

Comments

Popular posts from this blog

ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়'তে তারা তিনজন

দেবের সাথে কাজ করবেন মিষ্টি

ম্যাগাজিনে হট নার্গিস ফাখরি