অ্যাভেঞ্জাররাই হ্যাকিয়ের মূল হোতা!

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করতে চীন চুরি করা তথ্য ব্যবহার করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক শীর্ষ সাইবারনিরাপত্তা বিষয়ক কমান্ডার মাইক ওয়ালস। তিনি বলেন, “এটি একটি গোয়েন্দা কার্যক্রম যা চীনকে ভবিষ্যতে সাইবার আক্রমণে সাহায্য করবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক সাবেক গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ জেসন পোলানচিখ জানিয়েছেন, হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের কাজ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে এবং ওই তথ্য কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। কর্মকর্তাদের
ব্যাক্তিগত তথ্য দিয়ে চীন তাদের ব্ল্যাকমেইল করতে পারে, এমনকি তাদের ক্রেডিট কার্ড কালোবাজারে ছেড়ে দেওয়ার মতো কাজও করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
অন্যদিকে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ও চীনা পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষজ্ঞ এলিজাবেথ উইশনিক যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে কোনও শক্ত প্রমাণ না দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত বিষয় নিয়ে পারস্পারিক সংলাপ হতে যাচ্ছে, যেখানে মার্কিন কর্মকর্তারা সাইবারনিরাপত্তার ইসুটি উঠানোর কথা, ঠিক এর আগ মূহুর্তে এ ধরনের আক্রমণ পরিচালনার জন্য খুব বাজে সময়।”
হ্যাকারদের আসল পরিচয় নিয়ে রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কের মধ্যে হাস্যরসের যোগান দিচ্ছে হ্যাকারদের ব্যবহৃত ছদ্মনাম। ছদ্মনামের মধ্যে ছিল-- টনি স্টার্ক, নাতাশা রোমানফ, স্টিভ রজার্স আর জেইমস রোডসের মতো নামগুলো। অনেকটা রসিকতা করেই সিএনএন মন্তব্য করেছে, ক্যাপ্টেন আমেরিকা আর অ্যাভেঞ্জাররাই হ্যাক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক।
Comments
Post a Comment