চলে গেলেন জোহরা সেহগাল

চলে গেলেন জোহরা সেহগাল 

টেকনো ডেস্ক : বলিউডের সবার দঠাকুমাদ জোহরা সেহগাল আর নেই। ১০ জুলাই সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর সময় প্রখ্যাত বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ১০২ বছর।
বার্ধক্য এসেছিল শুধু শরীরে, তার মনে তা আঁচড় কাটতে পারেনি কিঞ্চিৎও। তার অফুরান তারুণ্য আর অপর্যাপ্ত প্রাণশক্তি বিস্মিত করেছিল চলচ্চিত্রপ্রেমীদের। সবাইকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের ‘দ্য গ্র্যান্ড ওল্ড লেডি’। তার মৃত্যুতে বলিউডে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কিংবদন্তি অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে নতুন প্রজন্মের তারকারাও শোক প্রকাশ করেছেন। জোহরা সেহগালের কন্যা কিরণ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই তার মা অসুস্থ ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। ১১ জুলাই লোডি গার্ডেনে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ১৯১২ সালের ২৭ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের সাহরানপুরের এক ঐতিহ্যশালী মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জোহরা। সাহিবজাদী জোহরা বেগম মুমতাজ-উল্লা খান, এই নামে ডাকা হতো তাকে। উচ্চশিক্ষার জন্য বাবা-মা মেয়েকে লাহোরে পাঠান। জোহরার প্রথম পছন্দ ছিল নাচ। ১৯৩৫ সালে উদয় শঙ্করের গ্রুপে নৃত্যশিল্পী হিসেবে যোগ দেন তিনি। সেই শুরু। আট দশক ধরে একটানা চলার পর অবশেষে ইতি টানলেন এই শিল্পী। ব্যক্তিজীবনে ভালোবেসে ১৯৪২ সালে বিয়ে করেছিলেন ইন্দোরের হিন্দু পরিবারের ছেলে বিজ্ঞানী কামেশ্বর সেহগালকে। বলিউডের অনেক কালজয়ী ছবিতে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন জোহরা। বৃদ্ধ বয়সেও বলিউডের ‘বীর-জারা’, ‘চিনি কম', ‘দিল্লাগি', ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে তার দুষ্টুমিষ্টি অসাধারণ সাবলীল অভিনয় দর্শকদের বারবার চমকে দিয়েছে। ২০০৭ সালে সঞ্জয়লীলা বানসালির দসাওয়ারিয়াদয় শেষবার পর্দায় দেখা গিয়েছিল জোহরাকে। অভিনয় করেছেন বহু টিভি ধারাবাহিকেও। অভিনয় জগতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। হলিউডের একাধিক ছবিতেও প্রতিভার ছাপ রেখেছেন জোহরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘দ্য ভেনজান্স অফ শি', ‘টেলস দ্যাট উইটনেস ম্যাডনেস', ‘নেভার সে ডাই', ‘লিটল নেপোলিয়ন্স', ‘বেন্ড ইট লাইক বেকহাম’ প্রভৃতি।

Comments

Popular posts from this blog

ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়'তে তারা তিনজন

দেবের সাথে কাজ করবেন মিষ্টি

ম্যাগাজিনে হট নার্গিস ফাখরি