সোনার ডিম

সোনার ডিম

 

ইনফো ডেস্ক : গ্রামের সহজ সরল এবং অলস একটি ছেলে ঢেঁকী মোঃ হাশেম। তার কথা পৃথিবীর আট দশ জন ধনী থাকলে সেও একদিন ধনী হতে পারবে। তাই বাড়ির উঠানে বসে বসে তার প্রিয় একটি হাঁসকে আদরযতœ করাই তার কাজ। তার কথা এই হাঁস দিয়ে সে একদিন অনেক ধনী হবে। হাশেম লাবনী নামে একটি মেয়েকে ভালবাসে। লাবনী বাবা মার বড় মেয়ে, আর বাবার অঢেল টাকা থাকার কারনে গ্রামের অনেকে তাকে বিয়ে করতে চায়। লাবনী জানে হাশেমের কথা বলে সে দুই তিন বছরের জন্য তার বাবার বাড়িতে থাকতে পারবে না, তাই বুদ্ধি করে চার বছর মেট্রিক পরীক্ষায় খারাপ করে, এতে করে বাবা তাকে বিয়ের জন্য তারা দিতে পারে না। আর লজ্জা হয় তারই ছোট ভাই তাকে টপকে কলেজে পরে। প্রত্যেকদিনের মত হাশেম তার উঠানে বসে হাঁসের যতœ করছিলো, এমন সময় একজন ফকির তার উঠানে এসে আল্লাহের নামে ভিক্ষা চায়। হাশেম রাতে খাবার চালাবার দুটি ডিম ফকিরকে দিয়ে দেয়।

ফকির খুশি হয় আর বলে আমারতো দেবার মত কিছু নাই খালি দোয়া করতে পারি। তখন হাশেম বলে আমার জন্য দোয়া না করে আমার হাঁসের জন্য দোয়া করেন যাতে করে আমার হাঁস সোনার ডিম পারে। ফকির তখন হাশেমের কথা শুনে হাঁসি দিয়ে চলে যায়। পরদিন ভোরবেলা হাশেম তার হাঁসের খোয়ার গিয়ে দেখে তার হাস সোনার ডিম পেরেছে। সে অনেক খুশি হয়ে যায়। সে নিমেষেই ধনী হয়ে যায়। সব কিছু পরিবর্তনের সাথে সাথে তার আচরণও পরিবর্তন হয়ে যায়। হাশেম যে লোকের কাছে ডিম বিক্রি করে সেই লোক তার সুন্দরী এবং শিক্ষিত মেয়েকে তার কাছে বিয়ে দিতে চায়, হাশেমও রাজি হয়ে যায়। লাবনী বিয়েতে বিরোধিতা করলে হাশেম তাকে খুব খারাপ ভাবে অপমান করে। লাবনী কষ্ট পায় এবং হাশেমকে ছেড়ে অন্য ছেলেকে বিয়ে করার চিন্তা করে। আর অন্য দিকে রাতারাতি পরিবর্তনে গ্রামের সবার নজরে পরে হাশেম। প্রায় সময় পুলিশ তার কাছে আসে তার টাকার উৎস জানতে কিন্তু হাশেম কিছুই বলে না। কিন্তু একদিন রাতে হাশেমের বাড়িতে ডাকাতি হয়। সব নিয়ে যায় ডাকাতে। সোনার ডিম দেখবেন ঈদের ১ম দিন রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে দেশ টিভিতে। সোনা ডিম রচনা ও পরিচালনায় তুহিন রাসেল। 

Comments

Popular posts from this blog

ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়'তে তারা তিনজন

দেবের সাথে কাজ করবেন মিষ্টি

ম্যাগাজিনে হট নার্গিস ফাখরি