শিল্প-সাহিত্যে প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্যে প্রযুক্তি
ইনফো ডেস্ক : আমাদের দেশের শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অবস্থান ও বিশে¬ষণ বিশ্বসাহিত্যে কতটুকু প্রভাব বিস্তার করছে সে বিষয়টি নির্ধারণ করতে গিয়ে দেখা যায়, আমরা আজও অনেক পিছিয়ে আছি। প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের অভাবে বা অজ্ঞানতার কারণে বিশ্বসাহিত্যের বিতৃত ক্যানভাসে বিশাল অবদান থাকা সত্ত্বেও তা যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারছি না। সমকালীন বিশ্বসাহিত্যে চোখ রাখলে আমরা তা কিছুটা হলেও অনুধাবন করতে পারি। প্রযুক্তির সঙ্গে শিল্প-সাহিত্যের একটা নিবিড় বন্ধন চিরন্তন ও অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পর্কযুক্ত। জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশে¬ষণধর্মী ইতিহাস ও সাহিত্যের সৃষ্টিকে একটি পর্যায়ে এনে পৃথিবীর মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার শক্তি হিসেবে যার ভূমিকা অপরসীম তা হলো প্রযুক্তি। সাহিত্য প্রকাশের ডিজিটাল মুদ্রণশিল্পের পাশাপাশি ওতপ্রোতভাবে জড়িত কম্পিউটার ইন্টারনেট ওয়েবসাইটের বিভিন্ন বিভাগ। বর্তমান এ আধুনিক সময়ে শিল্প, শিল্পী, সাহিত্য, স্থাপত্য-স্থপতি, মুদ্রণ, সংগীত ও ভাস্কর্যসহ সকল শিল্পমাধ্যমের গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব শিল্পমাধ্যমের সহায়ক প্রযুক্তি হিসেবে কম্পিউটার নিত্যদিনের সঙ্গী হিসেবে পরিণত হয়েছে। শুধু শিল্প নয়, জীবনের সঙ্গেও মিশে গেছে এই কম্পিউটার। সাহিত্য সম্বন্ধে তার সৌন্দর্যবোধ, ভাষাশৈলী ও চিন্তার স্ফূরণ ঘটাতে বা প্রতিক্রিয়ার মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে প্রযুক্তি। ছাপাখানার মাধ্যমে প্রকাশনায় বা গণমাধ্যমে এসব চিন্তার বিষয়গুলি উপস্থাপিত হয়। গণমাধ্যমের সাহায্যে বিষয়টির প্রচার সহজতর হয়ে ওঠে। একই সঙ্গে মিডিয়া শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির বিষয় উপস্থাপন করে থাকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে। তাই আমাদের দেশিয় সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলতে প্রয়োজন বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা নেয়া। বর্তমান সময় ডিজিটাল সময়। এ সময়ে এসে আমরা এখনও সেই পুরনো ধারায় পড়ে আছি। যা থেকে মুক্ত হতে হলে প্রয়োজন কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইটসহ আইটি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানটুকু অর্জন করা। যা পেশা হিসেবে নয়, নিজস্ব অবস্থানকে দৃঢ় করার জন্য। দেশিয় মূল্যবোধ ও সাহিত্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ অঙ্গনটাকে নিজস্ব ও আন্তর্জাতিক চাহিদার জন্য প্রাধান্য দিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারি পৃথিবীর বিতৃত সাহিত্যে।
প্রযুক্তি মৌলিক পরিবর্তনের পাশাপাশি বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বক্ষেত্রে বিস্ময়কর পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এই ইনফেরমেশন টেকনলজিসহ সকল হাইটেক পরিবর্তনের ধারায় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও দ্রুতগতিতে বদলাচ্ছে। বদলাচ্ছে সাহিত্যচর্চার প্রেক্ষাপট ও মাধ্যম। যা দিয়ে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে পারি। নিত্য নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানার্জন, এছাড়া পর্যালোচনা করতে পারি দেশি বিদেশি সাহিত্য নিয়ে।
প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সাহিত্যচর্চার বা যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদানের একটি অন্যতম মাধ্যম হলো ইন্টারনেট যা মানুষকে বিপুল তথ্য জোগান দেয়ার শক্তি রাখে। ইন্টারনেট সুযোগ করে দিচ্ছে বিশ্বের যে কোন উন্নত দেশের জ্ঞানভা-ারে প্রবেশ করার। কম্পিউটার ও আইটি জ্ঞান থাকলে আপনি তা করতে পারেন খুব সহজেই। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন দেশ-বিদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাসসহ পৃথিবীর বিপুল তথ্য। ইন্টারনেট আপনাকে তথ্য ভা-ারে একসেসের সুযোগ করে দিয়েছে। বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে আপনি চ্যাটিং করতে করতে যে কারো সাথে মত বিনিময় করতে পারেন। নেট-এ কম খরচে কথা বলতে পারেন। যে কোন তথ্য ও তত্ত্ব এনে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারেন। আপনার নিজস্ব মেধা প্রকাশ করতে পারেন পৃথিবীর যে কোন দেশের সাহিত্যপ্রেমী মানুষের সামনে।
Comments
Post a Comment